প্রাচীন সভ্যতা কেমন ছিল
প্রাচীন সভ্যতা সময়ের সাথে ভিন্ন ভিন্ন সময়কালে বিভিন্ন অঞ্চলে বিকশিত হয়েছিল, এবং তা সম্পূর্ণরূপে নির্দিষ্ট নয়। তথাপি, কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য প্রাচীন সভ্যতার সাথে যোগদান করে:
1. সাংস্কৃতিক ধারার সমৃদ্ধি: প্রাচীন সভ্যতা সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তাদের ভাষা, শিল্প, সাহিত্য, মূসীক, নৃত্য, ধর্ম, ও পর্বত পাহাড়ে জীবনযাপন সহ বিভিন্ন আশ্রয়ে সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকত।
2. কৃষি এবং প্রকৃতি উপযোগীতা: প্রাচীন সভ্যতা কৃষি ও প্রকৃতির সাথে ব্যাপারিক যোগদান করেছিল। তাদের জীবনযাপনে খাদ্য উৎপাদনে উপকারী গাভী প্রাণী, খরগোশ, ধান, গন্ধক, এবং অন্যান্য উদ্ভিদ ছিল।
3. সমাজসাধারণের সংগঠন: প্রাচীন সভ্যতা সমাজসাধারণের সংগঠনে ব্যত্যস্ত সামাজিক শ্রেণী এবং চূড়ান্ত চুক্তির উপযোগ করে। রাজা, মন্ত্রী, পূজারী, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, এবং শূদ্র হল প্রাচীন ভারতের মৌলিক সমাজিক শ্রেণীগুলি।
4. ধর্ম এবং দর্শন: প্রাচীন সভ্যতা অনেকটি ধর্ম এবং দর্শনের মূল উৎস ছিল, যেমন হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, ব্রাহ্মণধর্ম, এবং অন্যান্য। এদের মধ্যে বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম, এবং হিন্দুধর্ম সবচেয়ে প্রমুখ ছিল।
5. মহাজনপদ: প্রাচীন ভারতে মহাজনপদ নামক বৃদ্ধিশীল স্থানীয় সম্প্রদায়ের একটি শ্রেণি ছিল, যা বৃদ্ধিশীল কৃষকদের গঠন এবং প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র ছিল।
6. উদ্যোগশীলতা: প্রাচীন সভ্যতা বিজ্ঞান, গণিত, তারকিক বিচার, এবং তাদের সাংস্কৃতিক উন্নতির জন্য উদ্যোগী ছিল।
প্রাচীন সভ্যতা সময়ের সাথে পরিবর্তিত এবং বিকশিত হয়েছিল এবং প্রতিটি সভ্যতার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ছিল। এই সভ্যতার অধ্যয়ন আমাদের প্রাচীন মানব সভ্যতা সম্পর্কে মূল ধারণা প্রদান করতে সাহায্য করে।
0 Comments